সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
১৫ ডিসেম্বরের পর মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী : সিইসি

১৫ ডিসেম্বরের পর মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী : সিইসি

ভিশন বাংলা ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে পুলিশের সঙ্গে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম এ লক্ষ্যে কাজ করবে। তারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।আজ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক বিশেষ সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশকে উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা আমরা দেইনি। এটি আপনারা করবেন না। কারণ এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এতে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না। তাদের হয়রানি করবেন না।তিনি বলেন, অধিকাংশ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এর আগেও ভোটগ্রহণে কাজ করেছেন। যে কারণে তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কিছু নেই। তবে নতুন কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তথ্য যদি সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় তাহলে গোপন সূত্র বা সোর্স ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। এটা আমরা চাই না।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। মামলা করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না। আশা করি আপনারা এটা করছেনও না।অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আপনাদের কারণে যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন। এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন না সব দল অংশ নেবে। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি একা করা সম্ভব নয়। প্রজাতন্ত্রের সবাই মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কাজ করব। নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব থাকে পুলিশের। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের ওপরই।সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে কমিশন আপনাদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করবে। অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে। তবে আপনারা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করবেন। উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে না। অভিযোগ যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন পরর্বতী সহিংসতা রোধ করাও আপনাদের দায়িত্ব। ঐতিহ্যগতভাবেই এ দায়িত্বও আপনাদের। এবারও দেশের বৃহত্তম স্বার্থে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান মতে- কর্তৃত্ব নয়, বিবেক মতে কাজ করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের সকলে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে। আমরা কারো ওপর কতৃত্ব করব না। নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার বিষয়ে সংবিধানে যেমন বলা আছে। আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নেবে। পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে বলেও জানান সিইসি।সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com